মৌমাছি নানা প্রকার ফুল হতে এক প্রকার মিষ্ট রস সংগ্রহ করে মৌচাকে সঞ্চয় করে, তারই নাম মধু। আয়ুর্বেদিক মতে মধু একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ওষুধ যা শরীর ও মন উভয়ের সুস্থতায় কার্যকরী।
গুণ: মধুতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। এটি ক্ষত বা কাটা-ছেঁড়ার দ্রুত নিরাময়ে সহায়ক। এটি গলার ব্যথা, কফ ও শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে। মধু হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং পেটের গ্যাস, এসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময়ে কার্যকর। মধু শুষ্ক ত্বক নিরাময়ে সহায়ক। এটি প্রাকৃতিকভাবে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। মধু রক্তকে পরিশুদ্ধ করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, যা ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। মধু অগ্নিবর্ধক, বলকারক, বর্ণজনক, মলরোধক, ভগ্নস্থানের সংযোজক, ব্রণরোপক ও ব্রণ শোধক, চক্ষুপরিষ্কারক, ত্রিদোষের শান্তিকারক ও শুক্রস্তনকারক।
আময়িক প্রয়োগ: মধু সরাসরি অথবা এক চামচ আদার রস বা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে সেবন করলে হিক্কা, বমি, কাস, শ্বাস, জ্বর, অতিসার, মলবদ্ধতা, ক্রিমি ও বিষদোষের উপকারক, আহ্লাদজনক, শরীরের কোমলতা সম্পাদক, শরীরের স্রোতসমূহের বিকাশ সাধক, সূক্ষ্মস্রোতগামী, শরীরের ঔজ্জ্বল্যকারক, অত্যন্ত মেধাবর্ধক, অরুচিনাশক, যোগবাহী ও আয়ুস্কর, কিঞ্চিত বায়ু বর্ধক। মধুকে মহারসায়ন বলা যায়। -সূত্র: আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্র
