চোখের জন্য হিতকর এমন কিছু শাক রয়েছে। নিম্নে চোখের জন্য হিতকর ৫টি শাকের নাম উল্লেখ করা হলো: ১। লাল শাক, ২। পুঁই শাক, ৩। পালং শাক, ৪। সজিনা শাক, ৫। কলমি শাক।
পুঁই শাকে ভিটামিন এ ও বি থাকে। মধুর রস, শীতবীর্য, বায়ু, পিত্ত প্রশমক। পিচ্ছিল, নিদ্রাকর, শুক্রবর্ধক, বলকর, রুচিপ্রদ, সুপথ্য, পুষ্টিকর ও তৃপ্তিদায়ক। এর পাতা বেটে প্রলেপ দিলে ফোঁড়া পেকে যায়। এর ডাটা ভস্ম করে দাঁত মাজলে পাইয়েরিয়া নিরাময় হয়।
সজিনা পাতায় একইসঙ্গে পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণ থাকায় সজিনা পাতার শাক ৩০০ রকমের রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করে। বিশেষ করে কার্ডিও-প্রতিরক্ষামূলক এবং প্রদাহ, হাঁপানি, জীবাণু এবং ডায়াবেটিক প্রতিরোধী শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য থাকে, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় এমনকি শরীরে টিউমার ছড়িয়ে পড়াও প্রতিরোধ করে।
লাল শাকে রয়েছে ভিটামিন বি–১, ভিটামিন বি–২, ভিটামিন সি। লালশাকে প্রচুর আয়রন রয়েছে। তাই নিয়মিত এ শাক খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়। এ ছাড়া এ শাকের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ ও ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি রক্তে কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
পালং শাক মুলত শীতকালের হলেও বছরের অন্য সময়েও এর চাষ হয়। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ পালং শাকে হাড় গঠনের ক্ষেত্রে, বয়সজনিত চোখের ক্ষতি রোধ করতে, চুলপড়া রোধে, হৃদরোগ প্রতিরোধে ও ওজন কমাতে সর্বোপরি শরীরের শক্তি জোগাতে ভূমিকা রাখে।
কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। এটি বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ না পেলে মাকে কলমি শাক রান্না করে খাওয়ালে শিশু পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ পাবে। এই শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কলমি শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। সূত্র: আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্র
মুক্ত ভাবনায় ভাঙি মগজের কারফিউ...
