কচুশাক- কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ উপাদানসমূহ। রাতাকানা রোগসহ রক্তশূন্যতায়, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। দাঁত ও হাড়ের গঠনে, শরীরের ক্ষত সারাতে, শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ সচল রাখতে কচুশাক বেশি কার্যকর।
লালশাক- লাল শাকে বিদ্যমান খনিজ উপাদানের মধ্যে আয়রন বা লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, দস্তা, পটাশিয়াম, ফসফরাস উল্লেখযোগ্য। শিশুদের শারীরিক বিকাশে বিশেষ উপযোগী লাল শাক। এ শাক খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়। এটি রক্তে কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। মানবদেহের দাঁত ও অস্থি গঠনে, দাঁতের মাড়ির সুস্থতা রক্ষায় এবং মস্তিষ্কের বিকাশে লালশাকের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। এ শাকের আঁশ বা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
কলমীশাক- কলমীশাকে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, ভিটামিন এ,বি,সি এবং ক্যালসিয়াম, লৌহ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। শিশু ও ছোট ছেলে-মেয়েদের অন্ধত্ব ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধে খুবই উপকারী। পর্যাপ্ত পরিমাণে কলমীশাক খেলে কোষ্ঠ-কাঠিন্য দুর হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে।
বেতোশাক- বেতোশাক সাধারণত জ্বরনাশক। বেতো শাক বায়ু, পিত্ত ও কফনাশক এবং অগ্নিবল বৃদ্ধিকারক। এটি ক্ষারধর্মী। এর মধ্যে কৃমিনাশক শক্তি রয়েছে। এটি নিয়মিত খেলে মুত্রগ্রন্থি ও লিভারের ক্রিয়া স্বাভাবিক ও শক্তিশালী হয়। একনাগাড়ে কিছুদিন বেতো শাক খেলে শুকনো কাশি দূর হবে। পাইলস হলে বেতোশাকের রস ৩ বা ৪ চা চামচ অল্প গরম করে মহিষের দুধের সংগে মিশিয়ে খেলে রক্তপড়া বন্ধ হয়ে যায়। -সূত্র: আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্র
মুক্ত ভাবনায় ভাঙি মগজের কারফিউ...
