মধুমেহ রোগে অতিরিক্ত প্রস্রাবের সাথে মধুর খাদ্যযুক্ত মিষ্টি পদার্থ বের হয়। নিম্নে মধুমেহ রোগের ১০টি ভেষজের নাম দেওয়া হলো: জাম, করলা, মেথি, নিম পাতা, হলুদ, আমলকি, বেল, শিলাজিৎ, অ্যালোভেরা, তেলাকুচা, শতমূলী, পাথরকুচি প্রভৃতি।
তেলাকুচা: বাংলাদেশের সমতল অঞ্চলের জেলাগুলিতে প্রচুর তেলাকুচা দেখা যায়। সাধারণত জংলা জায়গায় অযত্ন অবহেলায় এরা বেড়ে ওঠে। তেলাকুচা একটি লতানো উদ্ভিদ। এর ফুলের রং সাদা। ফলগুলো লম্বা ছোট পটলের মত এবং উপরিভাগ মসৃন তেলতেলে বলেই এর নাম তেলাকুচা। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও সাদা ডোরাকাটা এবং পাকলে লাল রঙের হয়। গুণ: মধুর রস, শীত বীর্য, গুরু পাক, ধারক ও রক্ত পিত্ত প্রশমক, বায়ু নাশক, মূত্র হ্রাস কারক, মূত্রের শর্করা হ্রাস কারক, মধু মেহ রোগে উপকারী।
আমলকী: ইহা বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। এই গাছের পাতা তেতুঁল পাতার ন্যায়। গাছের বাকলের উপর সাদাটে সবুজাভ বর্ণের গোলাকৃতির শিরা যুক্ত ফল হয়। ডালে অসংখ্য ফল ধরে। আমলকী খেতে কষ স্বাদের হলেও খাওয়ার পর পানি খেলে মুখ মিষ্টি লাগে। গুণ: ইহা কষায়, অম্ল ও মধুর রস বিশিষ্ট। ত্রিদোষ, দাহ, পিত্ত, বমি, মেহ, শোষ, রক্তপিত্ত ও প্রমেহ নাশক, বৃষ্য ও রসায়ন। -সূত্র: আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্র
মুক্ত ভাবনায় ভাঙি মগজের কারফিউ...
