স্বাস্থ্য ডেস্ক রিপোর্ট: অল্প বয়সেই টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস হতে পারে। যে কোন ব্যক্তিই এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন।ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা যা সারা জীবনের জন্যে বয়ে বেড়াতে হয় এবং সারা বিশ্বে এর কারণে প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
শরীর যখন রক্তের সব চিনিকে (গ্লুকোজ) ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তখনই ডায়াবেটিস হয়। এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে। এছাড়াও ডায়াবেটিসের কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি এবং অনেক সময় শরীরের নিম্নাঙ্গ কেটেও ফেলতে হতে পারে।
সারা বিশ্বেই এই সমস্যা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪২ কোটিরও বেশি। ৩০ বছর আগের তুলনায় এই সংখ্যা এখন চার গুণ বেশি- এই হিসাব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
চিকিৎকরা বলছেন, ডায়াবেটিসের এতো ঝুঁকি থাকার পরেও যতো মানুষ এই রোগে আক্রান্ত তাদের অর্ধেকেরও বেশি এই রোগটি সম্পর্কে সচেতন নয়। তবে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম নীতি মেনে চললে অনেক ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিবিসির প্রকাশিত প্রতিবেদনে এখানে তার কিছু উপায় তুলে ধরা হলো।
ডায়াবেটিস কেন হয়?
আমরা যখন কোন খাবার খাই তখন আমাদের শরীর সেই খাদ্যের শর্করাকে ভেঙে চিনিতে (গ্লুকোজ) রুপান্তরিত করে। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের যে হরমোন নিসৃত হয়, সেটা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে নির্দেশ দেয় চিনিকে গ্রহণ করার জন্যে। এই চিনি কাজ করে শরীরের জ্বালানী বা শক্তি হিসেবে।
শরীরে যখন ইনসুলিন তৈরি হতে না পারে অথবা এটা ঠিক মতো কাজ না করে তখনই ডায়াবেটিস হয়। এবং এর ফলে রক্তের মধ্যে চিনি জমা হতে শুরু করে।
কি কি ধরনের ডায়াবেটিস আছে?
ডায়াবেটিস রয়েছে বিভিন্ন ধরনের। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তখন রক্তের প্রবাহে গ্লুকোজ জমা হতে শুরু করে।
বিজ্ঞানীরা এখনও বের করতে পারেন নি কী কারণে এ রকমটা হয়। তবে তারা বিশ্বাস করেন যে এর পেছনে জিনগত কারণ থাকতে পারে। অথবা অগ্ন্যাশয়ে ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলো নষ্ট হয়ে গেলেও এমন হতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ১০ শতাংশ এই টাইপ ওয়ানে আক্রান্ত।
অন্যটি টাইপ টু ডায়াবেটিস। এই ধরনের ডায়াবেটিসে যারা আক্রান্ত তাদের অগ্ন্যাশয়ে যথেষ্ট ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না অথবা এই হরমোনটি ঠিক মতো কাজ করে না। সাধারণত মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধ ব্যক্তিরা টাইপ টু ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বয়স কম হওয়া সত্ত্বেও যাদের ওজন বেশি এবং যাদেরকে বেশিরভাগ সময় বসে বসে কাজ করতে হয় তাদেরও এই ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বিশেষ কিছু এলাকার লোকেরাও এই ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছে। তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। সন্তানসম্ভবা হলে পরেও অনেক নারীর ডায়াবেটিস হতে পারে। তাদের দেহ থেকে যখন নিজের এবং সন্তানের জন্যে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন যথেষ্ট পরিমানে তৈরি হতে না পারে, তখনই তাদের ডায়াবেটিস হতে পারে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে ৬ থেকে ১৬ শতাংশ গর্ভবতী নারীর ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়েট, শরীর চর্চ্চা অথবা ইনসুলিন নেওয়ার মাধ্যমে তাদের শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা গেলে তাদের টাইপ টু ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. খুব তৃষ্ণা পাওয়া।
২. স্বাভাবিকের চাইতেও ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। বিশেষ করে রাতের বেলায়।
৩. ক্লান্ত বোধ করা।
৪. কোন কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া।
৫. প্রদাহজনিত রোগে বারবার আক্রান্ত হওয়া।
৬. দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।
৭. শরীরের কোথাও কেটে গেলে সেটা শুকাতে দেরি হওয়া।
চিকিৎসকরা বলছেন, টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের লক্ষণ শৈশব থেকেই দেখা দিতে পারে এবং বয়স বাড়ার সাথে সেটা আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে।
বয়স ৪০ বছরের বেশি হওয়ার পর থেকে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে দক্ষিণ এশিয়ার লোকজনের মধ্যে এই ঝুঁকি তৈরি হয় তাদের ২৫ বছর বয়স হওয়ার পর থেকেই। যাদের পিতামাতা, ভাই বোনের ডায়াবেটিস আছে, অথবা যাদের অতিরিক্ত ওজন, দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশের মানুষ, আফ্রো-ক্যারিবিয়ান অথবা কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান তাদেরও এই ঝুঁকি বেশি থাকে।
ডায়াবেটিস কি প্রতিরোধ করা সম্ভব?
ডায়াবেটিস যদিও জেনেটিক এবং আপনার জীবন যাপনের স্টাইলের ওপর নির্ভরশীল তারপরেও আপনি চেষ্টা করলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারেন। সেজন্যে আপনাকে খাবার গ্রহণের বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে এবং আপনাকে হতে হবে অত্যন্ত সক্রিয় একজন মানুষ।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব:
প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। মৃসন শাদা আটার রুটির পরিবর্তে খেতে হবে ভুষিওয়ালা আটার রুটি। এটাই প্রথম ধাপ। এড়িয়ে চলতে হবে হোয়াইট পাস্তা, প্যাস্ট্রি, ফিজি ড্রিংকস, চিনি জাতীয় পানীয়, মিষ্টি ইত্যাদি। আর স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে রয়েছে শাক সব্জি, ফল, বিন্স এবং মোটা দানার খাদ্য শস্য। স্বাস্থ্যকর তেল, বাদাম খাওয়াও ভালো। ওমেগা থ্রি তেল আছে যেসব মাছে সেগুলো বেশি খেতে হবে। যেমন সারডিন, স্যামন এবং ম্যাকেরেল। এক বেলা পেট ভরে না খেয়ে পরিমানে অল্প অল্প করে বিরতি দিয়ে খাওয়া দরকার।
শরীর চর্চ্চা বা ব্যায়াম করার মাধ্যমে রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে রাখা সম্ভব:
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতি সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টার মতো ব্যায়াম করা দরকার। তার মধ্যে দ্রুত হাঁটা এবং সিড়ি বেয়ে ওপরে ওঠাও রয়েছে। শারীরিকভাবে থাকতে হবে সক্রিয়। ওজন কম রাখলেও চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যদি ওজন কমাতে হয় তাহলে সেটা ধীরে ধীরে করতে হবে। সপ্তাহে আধা কেজি থেকে এক কেজি পর্যন্ত। ধূমপান পরিহার করাও জরুরী। নজর রাখতে হবে কোলস্টেরলের মাত্রার ওপর। এর মাত্রা বেশি হলে হৃদ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিসের কারণে কী ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে?
রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি হলে রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। শরীরে যদি রক্ত ঠিক মতো প্রবাহিত হতে না পারে, যেসব জায়গায় রক্তের প্রয়োজন সেখানে যদি এই রক্ত পৌঁছাতে না পারে, তখন স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর ফলে মানুষ দৃষ্টি শক্তি হারাতে পারে। ইনফেকশন হতে পারে পায়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অন্ধত্ব, কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদির পেছনে একটি বড় কারণ ডায়াবেটিস। হার্ট অ্যাটাকের একটি বড় কারণ রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।
কতো মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে ১৯৮০ সালে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১১ কোটি। ২০১৪ সালে সেটা বেড়ে হয় ৪২ কোটিরও বেশি। ১৯৮০ সালে ১৮ বছরের বেশি বয়সী মানুষের ডায়াবেটিস হওয়ার হার ছিল ৫ শতাংশেরও কম কিন্তু ২০১৪ সালের তাদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িযেছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন বলছে, প্রাপ্ত বয়স্ক যেসব মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের প্রায় ৮০ শতাংশ মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশের, যেখানে খুব দ্রুত খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ঘটছে। সংস্থাটি বলছে, ২০১৬ সালে ডায়াবেটিসের কারণে প্রায় ১৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
খাদ্যাভ্যাস/রিভার্সাল ডায়েট : সুস্থতার পথ্য
(হৃদরোগ/উচ্চ রক্তচাপ/ফ্যাটি লিভার/ডায়াবেটিস নিরাময়ের জন্য এটি পরীক্ষিত পদ্ধতি)
✅ ঘুম থেকে উঠেই (সূর্যোদয়ের পূর্বে) খালি পেটে অন্তত দুই গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করুন। আয়ুর্বেদশাস্ত্র মতে, সূর্যোদয়ের পুর্বে খালি পেটে জলপান করাকে ঊষাপান বলে। এইরূপ জলপান অভ্যাস করলে বাত-পিত্ত-কফজনিত যাবতীয় পীড়া, বিশেষত: অর্শ, শোথ, গ্রহণী, জীর্ণজ্বর, উদর কুষ্ঠ, মেদোরোগ, মুত্রাঘাত, কর্ণরোগ, শিরোরোগ, চক্ষুরোগ, কটিশূল এবং জরা নিবারিত হয়। এতে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। ঠাণ্ডা জলের পরিবর্তে হালকা গরম জল পানে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
✅ ঊষাপানের ১০-১৫ মিনিট পরে আগের রাতে ভিজিয়ে রাখা বাদাম, বীজ, ছোলা, আদা, খেঁজুর প্রভৃতি খেয়ে নিন। পরিমাণ-
বাদাম: চীনা বাদাম- ৫টি, কাঠ বাদাম- ৫টি, পেস্তা বাদাম- ৫টি, কাজু বাদাম- ২টি, আখরোট- ১টি; বীজ- মিষ্টি কুমড়ার বীজ- ১০টি, সূর্যমুখীর বীজ- ১০টি; ছোলা- ২০টি; আদা- ১ টুকরো, খেঁজুর- ১টি।
✅ ভোর ৬:০০-৭:০০ টা পর্যন্ত শারীরিক পরিশ্রম/ব্যায়াম ও ইয়োগা করুন।
✅ সকাল ৮:০০ টা : মিক্সড সবজি (অর্ধসেদ্ধ), শাক, ভর্তা দিয়ে ২-৩টি লাল আটার রুটি অথবা, পরিমিত লাল চালের ভাত/খিচুড়ি। রুটি বা ভাত খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিটের মধ্যে পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
✅ বেলা ১১:০০ টা : অন্তত দুই ধরনের সাইট্রাস ফল যেমন লেবু, মোসাম্বি লেবু, কমলা লেবু, আঙুর, মালটা, জাম্বুরা প্রভৃতি খান।
✅ দুপুর ১২:০০-০১:০০ টা : এক গ্লাস গ্রীন জুস তৈরি করে পান করুন। সজনে পাতা, পুদিনা পাতা, লেটুস পাতা, ধনে পাতা, ২-৩টি আমলকি একসাথে ব্লেন্ড করে গ্রীন জুস তৈরি করতে হবে। স্বাদের জন্য অল্প পরিমাণে জিরা, আদা, হিমালয়ান সল্ট, লেবু, মধু প্রভৃতি নিতে পারেন।
✅ দুপুর ০২:০০-০৩:০০ টা : ২-১ ধরনের কম মিষ্টি ফল, টক ফল অথবা, এক বাটি কাঁচা সালাদ খান। শসা, গাজর, টমেটো, ক্যাপসিকাম, বিটরুট প্রভৃতি দিয়ে সালাদ তৈরি করতে পারেন। স্বাদের জন্য হিমালয়ান সল্ট, পেঁয়াজ, মরিচ, লেবু, টক দই, সস দিতে পারেন।
✅ বিকাল ০৪:০০-০৫:০০ টা : মিক্সড সবজি (অর্ধসেদ্ধ), ডাল, ডিম (কুসুম ছাড়া) দিয়ে পরিমিত লাল চালের ভাত। ভাত খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিটের মধ্যে পানি পান থেকে বিরত থাকুন।
✅ সন্ধ্যার পরে ৩০ মিনিট হাঁটুন অথবা ১০ মিনিট জগিং করুন।
✅ রাত ৮:০০ টা: এক কাপ পরিমাণ জবের ছাতু পানির সাথে মিশিয়ে খান। স্বাদের জন্য সামান্য পরিমাণে মধু বা আখের গুড় মিশিয়ে নিতে পারেন।
✅ রাত ৯:০০ টা : অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার উইথ মাদার (৩-৪ চা চামচ) এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিন। চাইলে অল্প পরিমানে লেবুর রস মেশাতে পারেন।
দ্রষ্টব্য : আপনার সুবিধামতো সময়ে সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন ১ চা চামচ মধু, আধা চা চামচ কালোজিরা, এক কোয়া রসুন ও এক টুকরো কাঁচা হলুদ খান। এছাড়াও চিয়া বীজ- ২ চা চামচ ও তিসি- ৫ চা চামচ একত্রে পানিতে ভিজিয়ে পান করুন।
করণীয়:
👉 স্ব-স্ব ধর্মের বিধি অনুযায়ী নিয়মিত প্রার্থনা করুন।
👉 সপ্তাহে ২ দিন রোজা/উপবাস/ফাস্টিং করুন।
👉 তেল ছাড়া খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
👉 নিয়মিত মেডিটেশন (ধ্যান) করুন।
👉 হার্ট ব্লকেজ থাকলে প্রাণীজ প্রোটিন যেমন সকল ধরনের মাছ, মাংস এবং দুধ ও দুধের তৈরি খাবার খাওয়া অন্তত দুই বছরের জন্য বন্ধ রাখুন।
👉 শরীরে অতিরিক্ত চর্বি ও ওজন বেশি হলে কাঙ্ক্ষিত ওজন অর্জন না হওয়া পর্যন্ত বড় মাছ, মাংস, তেল ও তৈলাক্ত সব ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
বর্জনীয়:
👉 চিনি, সাদা চাল ও সাদা আটার তৈরি সকল খাবার (পাউরুটি, বিস্কুট, নুডুলস, চিপস, লুচি, পরাটা)।
👉 মিষ্টান্ন, মিষ্টি দই, ঘি, মাখন, ডালডা, মার্জারিন, দুধের সর।
👉 রেড মিট অর্থাৎ গরু-খাসি-পাঁঠার মাংস, বিরিয়ানি, কাচ্চি, তেহারি।
👉 চিংড়ি, কাঁকড়া, বড় মাছের মাথা, চাষের মাছ, ফার্মের মুরগী, কীটনাশকযুক্ত সবজি।
👉 ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংক্স।
👉 প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত এবং ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত সব ধরনের খাবার।
