তৈলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ তেল তিলের তৈল। তিলের স্নেহভাগ অর্থাৎ তৈল কষায়-তিক্ত-মধুররস, উষ্ণবীর্য, তীক্ষ্ণ, সূক্ষ্ম, প্রসরণশীল, গুরু দেহের স্থিরতা সম্পাদক, বলকারক, বর্ণপ্রসাদক, পুষ্টিকারক, বায়ুনাশক ও কান্তিবর্ধক। তিল তেলে রয়েছে ভিটামিন ই, বি কমপ্লেক্স এবং খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস। তিলের তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুসমৃদ্ধ যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আয়ুর্বেদ মতে, মধুমেহ রোগীদের খাদ্য তালিকায় তিল তেল অন্তর্ভুক্ত করা জরুরী। এছাড়া রক্তচাপের মাত্রা কমাতেও তিলের তেলের জুড়ি নাই। ইহা ক্রিমি, কণ্ডু ও ব্রণ নিবারক, মলরোধক, চক্ষুর হিতকর, কর্ণশূলনাশক, শিরঃশূল বিনাশক, কেশের উপকারক, শ্রোত: শোধক, গর্ভাশয়ের সংস্থাপক, দেহের লঘুতাকারক, মেধাজনক, বুদ্ধিপ্রদ, যৌনিশূল নিবারক। ইহা ছিন্ন-ভিন্ন, সন্ধিচ্যুত, উৎপিষ্ট, মথিত, ক্ষতপিচ্চিত, ভগ্ন, স্ফুটিত, বিদ্ধ, অগ্নিদগ্ধ, বিদারিত এবং মৃগ ও ব্যাঘ্র প্রভৃতি কর্তৃক বিক্ষত ব্যক্তিদের পক্ষে অতীব কল্যাণপ্রদ। ইহা পানে, নস্যে, কর্ণপূরণে, নেত্রপূরণে, পরিষেকে, অভ্যঙ্গে ও স্নানে এবং বস্তিক্রিয়াতে সর্বাপেক্ষা প্রশস্ত। তিল তৈল পক্ক বা অপক্ক যাই হঠুক না কেন, যতই পুরাতন হবে, তার গুণ ততই বাড়তে থাকবে। -সূত্র: আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্র
মুক্ত ভাবনায় ভাঙি মগজের কারফিউ...
