হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর দিক ও মুক্তির উপায়

শ্যামল সেনগুপ্ত

হস্তমৈথুন একটি জৈবিক বিকার। অতি হস্তমৈথুনে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা ভবিষ্যতে দেখা দেয়, যথা:
১. মাথাঘুড়া/ Vertigo
২.শারীরিক দুর্বলতা/Physical weakness
৩.প্রস্রাবের ক্ষয়/ জ্বালাপোড়া/UTI
৪.শরীর মুটিয়ে যাওয়া/ Fat deposit
৫. হিনমন্যতায় ভোগা/ Mental illness.
৬. বিয়ে করতে ভয় পাওয়া/Afraid to marriage.
৭.অল্প বয়সে ডায়াবেটিস/DM in early age.
৮.সংসার জীবনে অসুখী/ যৌন জীবনে অতৃপ্ত/Less satisfied in congugal life.
৯.মেজাজ খিটখিটে ভাব/Irritate
১০. অন্ধকার ঘড়ে/ একাএকা থাকার ইচ্ছা/ Living in dark room or single.

আমার স্বর্গত পিতা বৈদ্যশিরোমনী অধ্যক্ষ যতীন কুমার সেনগুপ্ত প্রায়শই বলতেন, যৌবনে যে যতো নিজেকে ধরে রাখতে পারে, তাঁর জীবন অধিক ভালো হয়, কখনোই বার্ধক্য / জড়া আসে না, দীর্ঘকাল যৌবন অটুট থাকে।

হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়:
হস্তমৈথুন হলো স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া, এটি পুরুষের যৌবনের আগমনী বার্তা। তবে, অতি হস্তমৈথুনের ফলে যুব সমাজ বর্তমানে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

প্রতিকার:
১. যৌবনের আগমনে বাবা, মা, বড় ভাই /বাড়ির বয়স্ক যারা আছেন তারা অবশ্যই ছোটদের হস্তমৈথুন সম্বন্ধে বা কুফল সম্বন্ধে অবগত করবেন।
২. হস্তমৈথুনের ইচ্ছে জাগলেই বইপড়া/ হাল্কা ব্যয়াম করা/ ধর্মীয় পুস্তক পড়া/ ধ্যান / প্রার্থনা করা।
৩. সংস্কৃতির চর্চা বিশেষত সঙ্গীত, আবৃত্তি অনুশীলন।
৪. খেলাধুলা বিশেষত ফুটবল, ক্রিকেট, সাঁতারসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় মনোনিবেশ করা।
৫. কুসঙ্গে না মেশা।
৬. অভিভাবকের সচেতনতা।
৭. বিভিন্ন ভেষজ স্বপ্নদোষ/ হস্তমৈথুন থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে যেমন- কাবাবচিনি, শিমূলমূল, উলটকম্বল, ঘৃতকুমারী, ত্রিফলা, চন্দন, গুলঞ্চ ইত্যাদি ভেষজ উপকারী।
৮. হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির প্রধান উপায় : ব্রহ্মচর্য্য পালন করা, নারী সঙ্গ না করা, নারীদের সঙ্গে কামালাপ/ কু-কথা / Nude talk না করা, কামদৃশ্য/blue film না দেখা, নারীর দেহ চিন্তা না করা/ নারীকে মাতৃবৎ চিন্তা করা।
৯. পারিবারিক শিক্ষা একটি বড় অনুসঙ্গ হিসেবে কাজ করে।
১০. হস্তমৈথুনের কুফল সম্বন্ধে জনসচেনতা সৃষ্টি।

সকলে সুস্থ থাকুন, আয়ুর্বেদের সঙ্গে থাকুন।

শ্যামল সেনগুপ্ত : সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, টিএমএসএস ফিরোজা বেগম আয়ুর্বেদিক-ইউনানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বগুড়া।

আপনি এই সাইটের কন্টেন্ট কপি করতে পারবেন না