রেজাউল করিম
বাংলাদেশ গত এক দশকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। “ডিজিটাল বাংলাদেশ” ভিশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ এখন ডিজিটালাইজেশনের রোল মডেল। তবে এই অগ্রগতির পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে, যা মোকাবেলা করা জরুরি।
ডিজিটালাইজেশনের সাফল্য:
১. ই-গভর্ন্যান্স: সরকারি সেবাগুলো এখন অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। যেমন—ই-নথি, মোবাইল ব্যাংকিং, ই-টেন্ডারিং এবং অনলাইনে ইউটিলিটি বিল পরিশোধের ব্যবস্থা।
২. মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যাপ্তি: প্রায় ১৮ কোটি মোবাইল সংযোগ এবং ১৩ কোটির বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দেশকে ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
৩. ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং: বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং হাব। প্রতিবছর হাজারো তরুণ-তরুণী আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে কাজ করছে।
৪. স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম: bKash, Pathao, ShopUp-এর মতো স্টার্টআপগুলো বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগিয়েছে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগও বাড়ছে।
চ্যালেঞ্জ ও সমাধান:
- সাইবার নিরাপত্তা: ডিজিটাল সেবা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাইবার অপরাধও বাড়ছে। জনসচেতনতা ও শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রয়োজন।
- ডিজিটাল বিভাজন: শহর ও গ্রামের মধ্যে ইন্টারনেট সুবিধার পার্থক্য রয়েছে। ৫জি প্রযুক্তি ও সাশ্রয়ী ডিভাইসের প্রসার প্রয়োজন।
- প্রশিক্ষণের অভাব: আইটি সেক্টরে দক্ষ জনবলের চাহিদা মেটাতে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ জোরদার করতে হবে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ব্লকচেইন ও ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মতো প্রযুক্তি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করবে। সরকারের সাথে বেসরকারি খাতের সহযোগিতা এই অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
রেজাউল করিম: কলেজ শিক্ষক (তথ্য ও প্রযুক্তি), বেড়া, পাবনা।
