সাইবার সিকিউরিটি ও ডিজিটাল সুরক্ষা: কেন এটি অপরিহার্য?

রেজাউল করিম

ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। কিন্তু এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ। ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, ফিশিং, র্যানসমওয়্যার আক্রমণ ও অন্যান্য সাইবার হুমকি থেকে রক্ষা পেতে সাইবার সিকিউরিটি ও ডিজিটাল সুরক্ষার জ্ঞান অপরিহার্য। এই নিবন্ধে আমরা জানবো সাইবার সিকিউরিটি কী, এর গুরুত্ব এবং কীভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

সাইবার সিকিউরিটি কী?

সাইবার সিকিউরিটি হলো ডিজিটাল সিস্টেম, নেটওয়ার্ক ও ডেটাকে অননুমোদিত অ্যাক্সেস, আক্রমণ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করার প্রক্রিয়া। এর মধ্যে রয়েছে নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি, ডেটা প্রোটেকশন, এনক্রিপশন, অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ও ব্যবহারকারীর সচেতনতা।

সাইবার হুমকির ধরন

১. ফিশিং (Phishing): প্রতারণামূলক ইমেইল বা মেসেজের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ।
২. ম্যালওয়্যার (Malware): ক্ষতিকর সফটওয়্যার যেমন ভাইরাস, ট্রোজান, র্যানসমওয়্যার।
৩. ডেটা ব্রিচ (Data Breach): হ্যাকারদের দ্বারা সংবেদনশীল তথ্য চুরি।
৪. সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (Social Engineering): মানসিক কৌশল ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড বা তথ্য আদায় করা।

ডিজিটাল সুরক্ষার জন্য করণীয়

  • শক্তিশালী ও অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
  • টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA) চালু রাখুন।
  • সন্দেহজনক লিংক বা অ্যাটাচমেন্ট এড়িয়ে চলুন।
  • নিয়মিত সফটওয়্যার ও অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করুন।
  • ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার আগে দ্বিতীয়বার ভাবুন।

সাইবার সিকিউরিটিতে বাংলাদেশের অগ্রগতি

বাংলাদেশ সরকার সাইবার সিকিউরিটি আইন-২০২৩ প্রণয়ন করেছে এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল সক্রিয় রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত সচেতনতাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।

প্রযুক্তির সুবিধা নিতে গিয়ে সাইবার ঝুঁকি উপেক্ষা করা যায় না। সচেতনতা ও সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল জগতে নিরাপদ থাকতে পারি। আসুন সাইবার হুমকি মোকাবিলায় সজাগ হই এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি।

রেজাউল করিম: কলেজ শিক্ষক (তথ্য ও প্রযুক্তি), বেড়া, পাবনা।

আপনি এই সাইটের কন্টেন্ট কপি করতে পারবেন না