পাবনার কবি ও কবিতা: প্রমথ চৌধুরী

গ্রন্থ সম্পাদনা: আলাউল হোসেন

প্রমথ চৌধুরী
বাংলা গদ্যরীতির সার্থক রূপকার সবুজপত্র পত্রিকার সম্পাদক প্রমথ চৌধুরী ১৮৬৮ সালে পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৮৯ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও ১৮৯০ সালে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স পাশ করেন। অনার্স ও মাস্টার্স উভয় পরীক্ষায় তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর আইন পড়ার জন্য ইংল্যান্ড যান। ইংল্যান্ড থেকে ‘বার এট ল’ পাশ করে কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে কলকাতা আইন কলেজে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯১৪ সালে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় বাংলা ভাষার কালজয়ী পত্রিকা ‘সবুজপত্র’। ১৯৩৮ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক লাভ করেন। প্রমথ চৌধুরী ‘বীরবল’ ছদ্মনামে লিখতেন। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ : সনেট পঞ্চাশৎ, পদাচরণ। গল্পগ্রন্থ : চার ইয়ারী কথা, আহুতি, নীললোহিত, গল্পসংগ্রহ প্রভৃতি। উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ : বীরবলের হালখাতা, আমাদের শিক্ষা, রায়তের কথা প্রভৃতি। ১৯৪৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রমথ চৌধুরী শান্তিনিকেতনে মৃত্যুবরণ করেন।

প্রমথ চৌধুরীর কবিতা
মধ্যরাত্রি

দেখো সখি আঁধারের পানে
চেয়ে আছে দুটি শুভ্রতারা
দুটি শিখা বিকম্পিত প্রাণে
চেয়ে আছে স্থির রাত্রিপানে
আঁধারের রহস্যের টানে
দুটি আলো হয়ে আত্মহারা।
রাখো সখি জ্বেলে মোর প্রাণে
আলো ভরা দুটি কালো তারা।

ছড়াং

ছোটং ছেলে চড়েং ঘোড়া নিচেং উল্টে পড়েং খোঁড়া
ছোটং ছেলে বেশিং কাঁদে ভূতং তাহার চাপেং কাঁধে
দোলনায় বেশি দুলেং দুলেং কখন যে যায় ভুলেং ভুলেং
ছোটং ছেলে খেলেং পান বড়ং লোকে মলেং কান
ছেলে যদি খায় ঘড়িং ঘড়িং হাত পাগুলো ফড়িং ফড়িং
মিছেং কথা বলেং ছেলে ধরাং পড়ে চলেং জেলে।

আপনি এই সাইটের কন্টেন্ট কপি করতে পারবেন না