গ্রন্থ সম্পাদনা: আলাউল হোসেন
শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ১৮৮৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জিসিআই ইন্সটিটিউশন ও কলকাতা মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করেন। ডাক্তারী পাশ করে গ্রামে ফিরে এসে মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। হেমায়েতপুরে অবস্থিত অনুকূলচন্দ্রের সৎসঙ্গ সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের মিলনকেন্দ্র। অনেক খ্যাতনামা যেমন মহাত্মা গান্ধী, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ এই সৎসঙ্গে এসেছেন। কেউ কারো ওপর নির্ভরশীল হবে না, কেউ কারো কাছে প্রত্যাশী হবে না, স্বাবলম্বন ও দীক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়ে শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করবেÑ এটাই শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের মূল লক্ষ্য ছিল। এখনও তাঁর অসংখ্য অনুসারী তথা ভক্ত সৎসঙ্গকে তীর্থস্থান মনে করে নিয়মিত এখানে আসেন। অনুকূলচন্দ্র ঠাকুর প্রায় ৪৫টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো : পুণ্যপুথি, অনুস্মৃতি, চলার সাথী, শাশ্বতী, বিবাহ বিধায়না প্রভৃতি।
শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কবিতা
কামকলা
কামকলায় সংযত হও
সংযত হও স্বামী-স্ত্রী
শিষ্ঠ সুষ্ঠু, ভাবটি জাগুক
অন্তরেতে দীপ্ত ধী।
তৃষ্ণাভরা তৃপ্ত বুকে স্বামীর প্রতি অনুরাগ
এমন নারীর সহবাসে বর্দ্ধনা পায় পুণ্যফাগ।
সজীব যেমন যৌনজীবন সুন্দর সদাচারী
দীপ্ত কৃতি তেমনই সে জন আয়ুর অধিকারী।
বৈধ রমন একদমই বাদ সেটাও কিন্তু ভালো নয়
রতিক্রীড়ায় অবাধ হওয়া তাও অশুভ আনেই ক্ষয়।
পত্মীতে কাম রাখিস বাঁধা প্রীতিবন্ধন দিয়ে
আর সবা’তে ছড়াস প্রীতি মাতৃত্ব দৃষ্টি নিয়ে।
পতিপ্রাণা দক্ষা নারীর সেবা সুন্দর তৃপ্তি চলন
পুরুষ বুকে দীপ্তি আনে বৃদ্ধিতে দেয় উপঢৌকন।

