পাবনার কবি ও কবিতা: দয়াল কৃষ্ণদাস

পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের সাড়োরা গ্রামে ১৯২৫ সালে দয়াল কৃষ্ণদাসের জন্ম। বাবা ক্ষুদিরাম দাস আর মা সরলা বালা দাস ছিলেন তাঁর গানের প্রেরণা। ভজন বাউল, ঝুমুর ও রামপ্রাসাদী গানের বিশুদ্ধ গাইয়ে ছিলেন তাঁর মা। ছোট বেলায় এসব গান শুনেছেন মায়ের কণ্ঠে। পদাবলী কীর্তন ও সাহিত্যে অগাধ পা-িত্যের অধিকারী এই বাউল প্রায় ৫০ বছর কীর্তন গেয়ে ফিরেছেন এপার বাংলা ওপার বাংলার গ্রামে-গঞ্জে। পেশায় লোহার কামার দয়াল দাস ১৯৫৭ সালে রামায়ণগান দিয়ে আসরে গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি একমাত্র ছেলে বৃন্দাবন দাসের নামানুসারে ‘বৃন্দাবন সম্প্রদায়’ নামে একটি কীর্তনদল গঠন করেন। দল নিয়ে যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, ময়মনসিংহ, ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন, নারিন্দার গৌড়ীয় মঠ, ফরাশগঞ্জের হরিসভা, ধামরাই, সাভার, মানি নকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ দেশের প্রায় সবখানেই ঘুরে ঘুরে কীর্তন করেছেন। এছাড়া ভারতের মালদহ, শিলিগুড়ি, গঙ্গারামপুর, কালিগঞ্জে কীর্তন গেয়ে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।

দয়াল কৃষ্ণদাসের গীতিকবিতা

প্রশ্ন করি সাধুব দরবারে
গন্ধম কি ফল বলো না আমারে
ও সে ফল কি হয় ফুল
কোথায় রয় তাহা একবার দেখাও না আমারে।

না বললে আজ ছাড়বো না সাধু
তত্ত্ব মানবো না
নামের কলঙ্ক কইরো না তুমি
সঠিক উত্তর দাও মোরে।

কোথায় সে বসত করে
আকারে কি নিরাকারে
আছে কি নাই ভূমিতে
থাকলে শীঘ্র দেখাও মোহরে।

দেখবো বলে বাঞ্ছা করি
কেউ দিল না সন্ধান করি
আজো আছে গন্ধম জানি
দেখাও না একবার নজরে।

আপনি এই সাইটের কন্টেন্ট কপি করতে পারবেন না