পাবনার কবি ও কবিতা: মালিহা খাতুন

মালিহা খাতুন ২২ জুলাই ১৯২৮ সালে পাবনা জেলার তিলকপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, লেখিকা এবং সমাজকর্মী। তিনি ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রথম মহিলা অধ্যক্ষ ছিলেন। মালিহা খাতুনের পিতা কাজী সানাউল্লাহ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের আরবি ও ফার্সি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। মালিহা খাতুন সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল হতে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে বিএ অনার্স সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলা ও দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা এবং মনস্তত্ত্ব বিভাগে ডিপ্লোমা এবং পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে তিনি শিক্ষাবিষয়ক মনস্তত্ত্বে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। কয়েক বছর শিক্ষকতার পর মালিহা খাতুনকে রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে তিনি তাঁর কর্মজীবনের বড় একটি অংশ পরিদর্শক হিসেবে কাটিয়ে দেন। ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে ১৯৮২ সালে অবসর নেন। তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ: এক তুলি কত রং, হাজার দীপ জ্বলে, সেই আঁধারে এই আলোকে, রূপকথার রাজ্যে, আলো না আলেয়া, অচীন দেশের রাজকুমার প্রভৃতি। তিনি ২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বেগম রোকেয়া পদকে ভূষিত হন। ২৪ মে ২০০২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মালিহা খাতুনের কবিতা
প্রেম

প্রেম আমার হৃদয়ে মধুর সুর
জ্বলে উঠে মনের আলো
প্রেমিকের চোখের নিরব ভাষা
আমার হৃদয়ে স্বপ্নে আঁকা
হাসির মধুর স্পর্শ
মোর জীবনে আলোর ঝলক
প্রেমের সুর আমার সঙ্গী
আমার মনের গহ্বর
প্রেম আমাকে স্নেহে আঁকড়ে ধরে
প্রেমের সুর সে আমার প্রভাতের আলো
হৃদয়ে বাজে দোলন।

আপনি এই সাইটের কন্টেন্ট কপি করতে পারবেন না