পাবনার কবি ও কবিতা: সাজেদ রহমান

সাজেদ রহমানের কবিতার জগতে পদার্পণ ষাটের দশকে। কাব্যে কবি বন্দে আলী মিয়া সাহিত্য পুরস্কার, ‘অরণি পুরস্কার’, সাহিত্যে ‘কবিতা ক্লাব সাহিত্য পুরস্কার’ তাঁর উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি। এছাড়াও কেমব্রিজের ‘ইন্টারন্যাশনাল বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার তাঁকে আউটস্টাডিং পিপল অব দ্য টুয়েনটিথ সেঞ্চুরি’ এবং ইন্টারন্যাশনাল ম্যান অব দ্যা ইয়ার উপাধিতে ভূষিত করেছে। পেশাগত জীবনে তিনি সিভিল সার্জন অফিসে চাকরি করতেন। তাঁর জন্ম পাবনা সদরের কাচারীপাড়ায় ১৯ নভেম্বর ১৯৪৩ সালে এবং মৃত্যু ১ নভেম্বর ২০০৬ সালে।

সাজেদ রহমানের কবিতা
রেখে গেলাম কবিতা

আমি চলে গেলে আমার কবিতা থেকে যাবে
শত সহস্র আলোকবর্ষ ধরে
আমার কবিতা মুছে গেলে অবশিষ্ট রয়ে যাবে অনন্তকাল…
আকাশ-বান্ধব গায়ক পাখিদের কলরবে
তাদের সুবর্ণ পালকে।
আমি চলে গেলে আমার কবিতা রয়ে যাবে
প্রেয়সী নারীর অপূর্ব মায়াবী নির্জন জলাশয় চোখে
কবিতা চলে গেলে
অরণ্য-পাহাড়, স্রোতস্বিনী নদী, স্নিগ্ধ জলাশয়
স্বপ্নের এ দেশের অবারিত সবুজে-শ্যামলে, আকাশ নীলিমার নীলে
কখনো নক্ষত্রখচিত রাতের অন্তরীক্ষে হীরক দ্যুতিতে।
আমার কবিতা খুঁজে দেখো, খুঁজে দেখো
এদেশের এই পলল মাটিতে, পত্র-পুষ্পে, সোনালি ফসলের গন্ধে
জোছনা ঝলসিত রূপোলী রাতের দেহে
আমি রেখে গেলাম
রেখে গেলাম বাঁধা আছে পরম যতনে
তোমাদের সঙ্গীতের মাঝে যে সঙ্গীত
তোমাদের স্বপ্নের মাঝে যে স্বপ্ন
তোমাদের ভালবাসার মধ্যে যে ভালবাসা
তাতে খুঁজে দেখো জড়ায়ে রয়েছি আমি অপূর্ব মমতায়।
যে স্বপ্ন, যে সঙ্গীত, অফুরান ভালবাসা
আমি রেখে গেলাম অনাগত পৃথিবীর কাছে
আমার অদৃশ্য চুম্বনে,
খুঁজে নিও তোমাদের মুগ্ধ স্মৃতিতে
আমার কবিতার নিপুণ বিন্যাস।

আপনি এই সাইটের কন্টেন্ট কপি করতে পারবেন না