পাবনার কবি ও কবিতা: আবুল কাসেম

আবুল কাসেমের জন্ম ১ জুলাই ১৯৪৪ সালে পাবনায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর ১৯৬৯ সালে সরকারি আজিজুল হক কলেজে তাঁর প্রথম চাকুরিজীবন শুরু। ২০০১ সালে চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণের পর থেকে তাঁর রচিত কবিতা ও প্রবন্ধ গ্রন্থাকারে প্রকাশ হচ্ছে। ষাটের দশক থেকেই তাঁর কাব্যচর্চার সূচনা। চাকুরিকালে সাহিত্যচর্চা নিয়মিত থাকেনি। কবিতার পাশাপাশি প্রবন্ধ লিখেছেন প্রচুর। প্রকাশিত হয়েছে নিরন্তর, সাহিত্যপত্র, আজকের কাগজ, ভোরের কাগজসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশিত সাময়িকপত্রে। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- নিবাসে চারপাশে, আশায় ভালোবাসায়, শীত সন্ধ্যার রংধনু। প্রবন্ধগ্রন্থ- কুসুমিত ইস্পাত ও অন্যান্য প্রবন্ধ। সর্বশেষ তিনি রংপুরের সরকারি কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।

আবুল কাসেম-এর কবিতা
ফেলানির রক্ত

রক্তেরও নদী হয়Ñনদী থেকে পাবক সাগর…
কী বিলাপে আর্ত নারী… পথে যায় প্রাণের প্রহর:
ফেলানির রক্ত লোনা জানা গেল খবর শিরায়Ñ
সীমান্তে ফালতু যতো মানুষের লাশ উঠে এসে
কখন জাতীয় ছবি হয়ে ওঠে মেঘের নিনাদ
তখনই তো জানা গেল এ-আমার কান্নার সনদ!
আমার ভূমির মতো প্রিয় কিছু নয়তো কখনও
আমার ভূমির মতো লোনা রক্তে জমাট বাঁধন Ñ
বিলাপের মাতৃস্বরে বহ্নিফণাÑ বৈশাখের খরা
রক্তনদীর নামে ইছামতি জমে স্তব্ধতায়
শোকের পাথর উঠে সে-এখন
পর্বতের তীব্র শীর্ষতায়!

বিনিময়

যদি আনো তাপদাহ দরদর ঘামে ভিজে গিয়ে
অথবা বৃষ্টির শব্দে চারদিকে অন্ধকার নিয়ে
কিংবা শীতের রাতে ঠা-া হিম উত্তরের কোণে
অনেক হলুদ রোদে অপলক ফুল ফোটে বনে;
কখন যে সব ছেড়ে চোখে লাগে সায়াহ্নের ঘোরÑ
জ্বলজ্বলে তারাফুল ভোরের আলোর!
বুকে দেখি কাঠ খড়ি-জ্বলা এক হঠাৎ আগুন:
কখন কীই যে হবেÑ
পাব তবে আরেক ফাল্গুন!
আমি শুধু দিতে পারিÑ বিশ্বাসীর অশ্রুময় আলো
মেঘ উড়ে বৃষ্টি ঝরেÑ মন দিয়ে প্রেমটুকু জ্বালো!

আপনি এই সাইটের কন্টেন্ট কপি করতে পারবেন না