কবি নুরুজ্জামান মুসাফির শরৎনগর, ভাঙ্গুড়া, পাবনায় ১৯৪৭ সালের ২০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস সাঁথিয়া উপজেলার পাথাইল হাট গ্রামে। তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভি’র নাট্যকার, গীতিকার ও আবৃত্তিকার। তিনি বিভিন্ন সংগঠন থেকে সম্মাননা ও সংবর্ধনা পেয়েছেন। গদ্য সাহিত্যে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ কল্পতরু, সঞ্জীবন, ছোটদের মহাবিজ্ঞানী হযরত মোহাম্মদ (সা.), আঁধার থেকে আলোয়, মঞ্জিল (ইসলামী গীতি নকসা), ভাষার জন্য (দেশাতœবোধক) নাটক-প্রতিদান, এইটুকু প্রত্যাশা, প্রতিফল, ভোরের শুকতারা, মুক্তি, শান্তির ডাক, আর ভুল নয়, প্রতিশ্রুতি, প্রত্যাশা, একান্ত কামনা, মোহমুক্তি, অগ্নি, স্মৃতির মিনার, আলোর মিছিল, প্রশান্তি, ফিরে পাওয়া, বিজয়মাল্য। কাব্য সাহিত্য তাওহীদ, জিহাদ, দজলার ধারা, সুরভী, ঝরাফুল, উপহার, গাঁও গেরামে, বর্ণালী (ছড়াগ্রন্থ), মরমী, স্বদেশ, রাখালী, গীতিসুধা (গানের সংকলন), প্রকাশের অপেক্ষায় বেশ ক’টি পা-ুলিপিসহ ভাঙ্গুড়া উপজেলার ইতিহাস। পাবনা জেলার আঞ্চলিক ভাষায় তাঁর রচিত কবিতা ও গানগুলো প্রশংসার দাবিদার।
মুহাম্মদ নূরুজ্জামান মুসাফিরের কবিতা
পল্লীগাঁয়ে
(ভাঙ্গুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় লেখা)
বোর ব্যয়না চহে যায়া
লাঙ্গল জোরে লেদু
গাঙে নামে গেদু।
বিষ্টি বাদল মাতায় লিয়া
পিচলা গাঁও যায় যে দাদা
চরায় বাতলিয়া,
দামাদ বাবু খাচ্চে উরুম
কাঁচামরিচ দিয়া।
গবরার মাও খ্যাতা হিয়ায়
আগলা গরে বস্যা
জুম্বা গরে নামাজ পড়ে
মায় যে ফেলু ঠসা।
ছাওয়াল পাওয়াল ইস্কুলে যায়
গাঁও পাতাল্যা গাঁটা
টাহি মাচের বত্তা খায়া
গলায় বিদচে কাঁটা।