পাবনার কবি ও কবিতা: মনোয়ার হোসেন জাহেদী

১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে পাবনা জেলার বেড়া উপজেলায় মাতুলালয়ে মনোয়ার হোসেন জাহেদীর জন্ম। যমুনা গর্ভে বিলীন সেই ছায়া সুনিবিড় গজারিয়া গ্রাম। মা রহিম খাতুন বাবা আব্দুস সাত্তার। পড়াশুনা: স্কুল জীবন বগুড়া ও রংপুর। উচ্চশিক্ষা : রংপুর কারমাইকেল কলেজ, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপনা: বগুড়া তালোড়া কলেজ, পাবনা শহীদ বুলবুল কলেজ এবং পি.এস.সি পরীক্ষায় বাংলাদেশে প্রথম স্থান অধিকার করে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে দীর্ঘকাল বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা, কিছুদিন সরকারি আকবর আলী কলেজ এবং পাবনা সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে অবসরগ্রহণ। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ স্টাডিজ খোলার পর দুই শিক্ষাবর্ষে আমন্ত্রিত অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেন। সাহিত্য-সংস্কৃতি কর্ম : পাবনার শতাব্দী প্রাচীন অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির প্রায় দুই যুগ সাধারণ সম্পাদক এবং পাবনা শিল্পকলা একাডেমি প্রায় প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক। ৮টি গ্রন্থ রচয়িতা। সম্পাদিত সাহিত্যপত্রের সংখ্যায়ও অনেক। জেলার স্থানীয় বিষয়ের উপর গবেষণাকর্মে অবদানের জন্যে সংবর্ধনা প্রাপ্ত লেখক। সাহিত্য সাধনা জীবনের ব্রত ছিলো। দীর্ঘকাল পাবনা শহরের শালগাড়িয়াতে বসবাস করেন। তিনি ৭২ বছর বয়সে গত ১ অক্টোবর ২০২০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

মনোয়ার হোসেন জাহেদীর কবিতা
কার্নিভ্যাল: ১৯৭১

[শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণে]

আজ ইতিহাসের করুণ প্রহর
ঘুরেফিরে পৃথিবীতে দৃষ্টান্তের একাত্মতা খোঁজে।
তাই বুঝি স্পেন, জার্মান, বাংলাদেশ
একাকার হয়ে যায়- গেস্টাপো
হিটলার
‘বেলসেন’ বন্দিশিবির।
চিরকাল পৃথিবীর জ্যুডেনর ডে নাম লেখা হয়
নিরীহ বুদ্ধিজীবী মানুষের।
আর
তাঁদের রক্তে মেতে ওঠে মাতাল উৎসব-
হত্যার বীভৎস নিপুণতা।
আমার বাংলাদেশে মৃত্যুর পিরামিড আছে
হৃদয়ের গহীন কোটরে।
‘যে মরণের নৃত্য’ চিত্র এখনো আঁকেনি
কোন অর্নেন্ত ক্রিস্তভ।

আপনি এই সাইটের কন্টেন্ট কপি করতে পারবেন না