পাবনার কবি ও কবিতা: মকসেদ আলী

গ্রন্থ সম্পাদনা: আলাউল হোসেন

মকসেদ আলী
মকসেদ আলী ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে কৃষ্ণপুর, পাবনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন কবি ও নাট্যকার। পিতা নাসির উদ্দিন মোল্লা। দরিদ্র পরিবারের সন্তান। পাবনা শহরে কবি হিসেবে বেশ খ্যাতি অর্জন করেন। কবির বয়স যখন ২১ বছর তখন ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসের ৩০ তারিখে পাবনা অন্নদা গোবিন্দ লাইব্রেরির ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়। এ অনুষ্ঠানে কলকাতা থেকে এসেছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিমল গোস্বামী। সেদিনের অনুষ্ঠানে কবি মকসেদ আলী কবিতা পাঠ করেছিলেন এবং সে কবিতা উপভোগ্য হয়েছিলো। এ কথা কলকাতার ‘যুগান্তর’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কৃষ্ণপুরে বিয়ে করেন। ১৯৪৮ সালে উদীয়মান এ কবির অকাল মৃত্যু ঘটে। একটি কন্যা জন্মগ্রহণ করার পর সেও শৈশবে মৃত্যুবরণ করে। কবি মকসেদ আলী বেশ কিছু কবিতা লেখেন। তাঁর অপ্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : মহুয়া, পৌষের মাঠ, মহামানুষ। তাঁর অপ্রকাশিত নাটক: ভাগ্যলেখা। আর একটি নাটক ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে বনমালী ইন্সটিটিউটে মঞ্চস্থ হয়। তাঁর নাম স্মরণীয় করে রাখার জন্যে পাবনা শহরের কৃষ্ণপুরপাড়ার নামকরণ করা হয়- মকসেদপুর।

মকসেদ আলীর কবিতা
ছায়া

ছায়ার আড়ালে আমি চলেছি সবুজ পথে
আমার প্রাণে ঝরে পড়ে সোনালী রাগে
ছায়ার মৃদু স্পর্শে আমি মেঘে হারাই
মন ভরে যায় সজ্জনের মধুর কথায়
ছায়ার আলোয় আমি খুঁজি সত্যের পথ
ছায়ার আড়ালে আমি সব হারাই
ছায়ার আলোয় আমি লিখি প্রেমের গান
আমার হৃদয়ে খেলে নাচে প্রেমের প্রাণ।

আপনি এই সাইটের কন্টেন্ট কপি করতে পারবেন না